‘দীর্ঘ দিনের আইন না মানার প্রবণতা থেকে রাতারাতি বের হওয়া সম্ভব নয়’ (ভিডিও)
নৌ দুর্ঘটনায় বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। গেল সাত মাসে ১০৭ টি নৌ দুর্ঘটনায় ১৭১ জন নিহত ও নিখোঁজ হয়েছেন ২২ জন। দুর্ঘটনার পর যথারীতি তদন্ত কমিটি করা হয় প্রতিবেদনও জমা পড়ে। আসে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার, কিন্তু মৃত্যুর মিছিল আর ছোট হয় না। এ অবস্থায় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলছেন, দীর্ঘ দিনের আইন না মানার প্রবণতা থেকে রাতারাতি বের হওয়া সম্ভব নয়। তবে নৌপথকে নিরাপদ করতে কাজ চলছে।
অসতর্কতা ও বেপরোয়া চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে নৌ দুর্ঘটনা। ৫ আগস্ট নেত্রকোনার মদনে ট্রলার ডুবে মারা যান ১৮ জন। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি হলেও মামলা হয়নি। জুন মাসে ‘ময়ূর ২’র ধাক্কায় সদরঘাটে বুড়িগঙ্গায় ছোট্ট লঞ্চ ডুবে সলিল সমাধির তালিকায় যোগ হয় ৩৪ জনের নাম। এ ঘটনায়ও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। মামলাও করেছে নৌ-পুলিশ। তবে ঘাতক লঞ্চটি জব্দ থাকলেও জামিনে বেরিয়ে গেছেন লঞ্চ মালিক।
নৌ-পুলিশের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরিদা পারভিন জানান, মর্নিং বাট লঞ্চ দুর্ঘটনা সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার মধ্যে সাতজনই এজাহার ভুক্ত আসামি এবং একজন সন্দেহভাজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি জানান এই লঞ্চের মালিক ঈদের আগে জামিনে বের হয়েছেন।
অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)'র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদের জানান, নিরাপদ নৌ ব্যবস্থা চালু করতে যারা এর প্রতিবন্ধকতায় থাকবে তাদের বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুর্ঘটনা এড়াতে এরইমধ্যে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চে ভ্রমণ করা উচিৎ না। কোনো লঞ্চ যদি আইন না মানে তা হলে আমাদের জানান আমরা আইন গত ব্যবস্থা নেবো।
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, নৌ পথে যে নৌযানগুলো চলে সবগুলোকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে আমরা কাজ করছি। তিনি জানান সবগুলোকে একবারে কন্ট্রোলে আনা সম্ভব না, তবে আস্তে আস্তে সব গুলোকে একটা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। অনুমোদিত নকশা নিয়ে নৌযান আছে সেইগুলোই চলবে।
নৌপথ সুরক্ষায় ব্যাপক পরিকল্পনা নেয়ার কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবাইকে ধীরে ধীরে নিয়মের মধ্যে আনার চেষ্টা চলছে। দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে নৌপথে চলাচলকারীদেরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
এনএম/এমকে/জিএ
মন্তব্য করুন